আজকের পোস্টে আমরা জানবো ডাটাবেস কি এবং কিভাবে কাজ করে। ডাটাবেস সিস্টেম মূলত প্রযুক্তি নির্ভর একটি ব্যাবস্থা যা আমাদের সকল তথ্য উপাত্ত সংরক্ষন করে রাখে।
ডাটাবেস হল একটি মজুদস্থান, যেখানে বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। ডাটাবেস তথ্যসমূহের একটি মজুদস্থান, যেখানে আমাদের তথ্যগুলি খুব সুন্দর ভাবে ভালো অবস্থানে ও সাজানো থাকে।
একটি ডাটাবেস সিস্টেম ব্যবহার করে আমরা আমাদের তথ্য সংরক্ষণ করতে পারি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্যগুলি পুনরাবৃত্তি করতে পারি। একটি ডাটাবেস সিস্টেম ব্যবহার করে আমরা একটি বিশাল মাত্রার ডাটা সংরক্ষণ করতে পারি এবং এই তথ্যগুলি সুষ্ঠভাবে ব্যাবহার করতে পারি।
ডাটাবেস ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা ও কোম্পানির জন্য, যেমন ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। এটি দ্বারা সংস্থাগুলি তাদের সমস্ত ডেটা সংরক্ষণ করে থাকে এবং তাদের কাজ করার সময় যেই তথ্য দরকার হয় সাথে সাথে ডাটাবেস থেকে নিয়ে নেই। আরও সহজভাবে যদি বলি তাহলে বলা যায় যে ডাটাবেস সিস্টেম ব্যবহার করে আমরা আমাদের ডেটা সংরক্ষণ করতে পারি এবং এই তথ্যগুলি প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারি।
একটি ডাটাবেস সিস্টেম সংস্থা বা কোম্পানির কাজকর্মের প্রস্তুতি ও পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে। এটি তাদের কাজকর্মকে সহজ ও স্বচ্ছতার সাথে সম্পুর্ণ করতে সহায়তা করে। সহজভাবে বলা যায় যে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ডাটাবেস সিস্টেম আধুনিক ব্যবসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
সবাই একটি প্রশ্ন করতে পারেন যে ডাটাবেস সিস্টেম এবং একটি স্প্রেডশীটের মধ্যে পার্থক্য কি?
স্প্রেডশীটে ডেটা অন্য স্থানে সংরক্ষিত থাকে যেখানে ডাটাবেস সিস্টেমে সংগ্রহিত হয় এবং সেই সমস্ত ডেটার সাথে একটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ডাটাবেস সিস্টেমে। অন্যদিকে স্প্রেডশীটে ডেটা সংরক্ষণ করা যায় কিন্তু সেটি বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার সামনে সেট করে থাকে।
ডাটাবেস সিস্টেম ব্যবহার করা সম্ভব হয় যখন একটি স্টোরে সমস্ত ডেটা সংরক্ষিত থাকে এবং যেকোনো সময় আমরা ডেটাবেস সিস্টেম ব্যবহার করে আমাদের কাজকর্ম করতে পারি। একটি ডাটাবেস সিস্টেম সমস্ত ডেটার সাথে একটি মেটাডেটা সংরক্ষণ করে যা একটি সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয়।
এছাড়াও ডাটাবেস সিস্টেম দ্বারা ডেটা সংরক্ষণ করা হয় প্রতিষ্ঠানের বা আমাদের কাজের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
ডাটাবেস সিস্টেম দ্বারা একটি বিশাল ডেটাবেস সংরক্ষিত থাকলে আমরা সেটি ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজকর্ম করতে পারি যেমন, ডেটা ইনসার্ট করা, ডেটা ডিলিট করা এবং ডেটা আপডেট করা।
সময়সীমার মধ্যে এই কাজগুলো সম্পাদন করা যেতে পারে এবং আমরা সেই ডেটাবেস সিস্টেম দ্বারা সংরক্ষিত ডেটা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন এবং প্রশ্নোত্তর দেখতে পারি।
সাধারণত ডাটাবেস সিস্টেম ব্যবহার করি আমরা সমস্ত ডেটা যেকোনো সময় খুব সহজে পাওয়ার জন্য। একটি ভার্চুয়াল ডেটাবেস সিস্টেমের মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কাজ চলতে থাকে।
ডাটাবেস সিস্টেম ব্যবহার করে আমরা আরও অনেক সুবিধা পেয়ে থাকি, যেমন বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে সরবরাহকৃত রিপোর্ট, ডাটাবেসে নতুন ডেটা সংযুক্ত করার সুযোগ এবং আরও অনেক কিছু।
আজকাল ডাটাবেস সিস্টেম প্রায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অত্যান্ত জরুরি বিষয় হয়ে উঠেছে এবং এর উপযোগীতা বেশি হয়ে উঠছে কারণ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ডেটা সংরক্ষণ করা যায় এবং এটি সাধারণত একটি সুরক্ষিত মাধ্যম যেখানে ক্রিটিক্যাল ডেটা সংরক্ষণ করা যায়।
বাংলাদেশে ডাটাবেসের ব্যবহার এখন পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। নতুন দক্ষতা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাটাবেস মজুদস্থান বিভিন্ন জায়গাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু উদাহরণ হল রোগীর তথ্য সংরক্ষণে, বিতরণ সিস্টেমে, প্রযুক্তি সেবাতে এবং একটি নিরাপদ সাইবার স্পেসে সুরক্ষা প্রদান করতে ডাটাবেস ব্যবহৃত হয়।
সরকারি এবং ব্যাক্তিগত ব্যবসায় ডাটাবেস ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তি ব্যবস্থায় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য বা প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং প্রক্রিয়ার জন্য ডাটাবেস ব্যাবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও শিক্ষা ও শিক্ষকদের তথ্য সংরক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সিস্টেমে ডাটাবেস ব্যবহার করে সকল কাজকে সহজ করা হয়েছে।